এসো আরবী শিখি কিতাবের প্রথম খণ্ডের প্রথম অধ্যায়ের ষষ্ঠ পাঠের নোট। এই নোটটি তাদের জন্য বেশী উপকারী হবে যারা এসো আরবি শিখি কিতাবের এই পাঠের উপর আমার তৈরিকৃত ভিডিওটি দেখেছেন। ভিডিওটি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
এসো আরবী শিখি – প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, ষষ্ঠ পাঠের ভিডিও।
এই পাঠে
মুদ্বফ ইলাইহির হরকত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মুদ্বফ ইলাইহি যখন দ্বমীর ছাড়া অন্য কোন শব্দ হয়, তখন সেই শব্দের শেষ হরফের হরকতে পরিবর্তন হয়। কী পরিবর্তন হয়, কিভাবে তা প্রকাশ পায় এবং মেয়েদের আরবী নামের শেষ হরফের হরকত কেমন হয়, তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই লেখাটিতে।
مضاف اليه-এর হরকতঃ
مضاف اليه যদি দ্বমীর ছাড়া অন্য কোন শব্দ হয়, তাহলে সেই শব্দের শেষ হরফে যের হয়।
যেমন, قَلَمُ زَيْدٍ এবং طَاوِلَةُ الْمُعَلِّمِ।
এখানে زَيْدٍ এবং الْمُعَلِّمِ শব্দ দুইটি مضاف اليه হওয়ায় শব্দ দুইটির শেষ হরফে যের হয়েছে।
তবে الْمُعَلِّمِ শব্দটি ال-যুক্ত হওয়ায় শব্দটি তানবীনকে গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে শব্দটির শেষ হরফে দুই যেরের স্থলে এক যের হয়েছে। পক্ষান্তরে زَيْدٍ শব্দটি ال-যুক্ত না হওয়ায় শব্দটি তানবীন গ্রহণ করতে পেরেছে এবং শব্দটির শেষ হরফে দুই যের হয়েছে।
মেয়েদের আরবী নামের ভিন্ন নিয়মঃ
মেয়েদের আরবী নামসমূহ অন্যান্য আরবী শব্দের চেয়ে ভিন্ন। সাধারণত অন্যান্য আরবী শব্দের (ইসমের) শেষ হরফে তানবীন হয়ে থাকে। কিন্তু মেয়েদের নামের শেষ হরফে তানবীন হতে পারে না। এমনিভাবে মেয়েদের নামের শেষ হরফে যেরও হতে পারে না। ফলে যে ক্ষেত্রে মেয়েদের নামের শেষ হরফে যের দেওয়ার কথা, সেখানে যেরের স্থলে যবর দেওয়া হয়।
তাই কোন ক্ষেত্রে মেয়েদের নাম মুদ্বফ ইলাইহি হলে মেয়েদের নামের শেষ হরফে এক যবর দিয়ে পড়া হবে। যেমন, قَلَمُ عَائِشَةَ ، سَاعََةُ فَاطِمَةَ.
প্রশ্নমালা
১. مضاف اليه দ্বমীর না হলে তার শেষ হরফে কোন হরকত বসানো হয়?
২. মেয়েদের আরবী নামের শেষ হরফে কী কী হতে পারে না?
৩. মেয়েদের নামের শেষ হরফে যেরের স্থলে কোন হরকত দেওয়া হয়?
লেখাটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
Facebook Comments